ঝালকাঠি প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠিতে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কর্মীসভায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে। এসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল হক নুরু ভিভিও কনফারেন্সে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। হামলায় যুব অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু সাঈদ মুসা, বরিশাল জেলা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি রনি খন্দকার ও ঝালকাঠি জেলা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়সাল আহম্মেদ আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহরের ধানসিঁড়ি ইকোপার্কে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, ঝালকাঠি জেলা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের কর্মীসভার আয়োজন করে শহরের বাইরে ধানসিঁড়ি ইকোপার্কে। সভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরুল হক নুরু। এ সময় ঝালকাঠি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাদিম মাহমুদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী অতর্কিত লাঠিসোঁটা নিয়ে সভায় হামলা চালায়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পিটুনিতে আহত হয় ছাত্র ও যুব অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন নেতা। কর্মীসভার মাইকও ভাঙচুর করা হয়। ঝালকাঠি জেলা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মো. ফয়সাল আহম্মেদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় আহত হলেও আমাদের ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেয়নি হামলাকারীরা। পরে আমাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে নেতাকর্মীরা।
তবে ঝালকাঠি পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাদিম মাহমুদ বলছেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিল। এই কারণে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের সভা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এখানে কাউকে মারধর করা হয়নি। ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন, কর্মীসভার কোনো অনুমতি নেয়নি। ওখানে কি হয়েছে, তাও আমাদের জানা নেই।’
Leave a Reply